বার্লিনে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) জার্মানি শাখার উদ্যোগে বার্লিনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১০ নভেম্বর) জার্মানির রাজধানী বার্লিনের স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন জার্মান বিএনপির সাবেক সভাপতি আকুল মিয়া এবং সঞ্চালনা করেন সাবেক প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক মান্নান। সভা সঞ্চালনার পাশাপাশি মোস্তাক মান্নান সাবেক রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জার্মান বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গনি সরকার। বক্তারা জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, দলীয় অবস্থান এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে আকুল মিয়া তাঁর চার দশকের রাজনৈতিক জীবনের নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ সতেরো বছরের নিপীড়নের কারণে দেশে ফেরার সুযোগ থেকেও বঞ্চিত ছিলাম। প্রিয়জনের মৃত্যুর পরেও দেশে যেতে পারিনি। তখনকার এনএসআই, ডিজিএফআই ও আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে বারবার জীবননাশের হুমকি পেয়েছি।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গনি সরকার বলেন, “রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন প্রকৃত রাষ্ট্রগড়ার রূপকার। তাঁর জন্ম না হলে হয়তো আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের অস্তিত্বই হয়তো দেখতে পেতাম না। দেশের জন্য তিনি যা করেছেন তার মূল্য কখনো কমবে না।”
বিএনপি নেতা কাজী রেজাউল হক দিবসটির ঐতিহাসিক তাৎপর্য তুলে ধরেন। বার্লিন বিএনপির সাবেক সভাপতি জসীম শিকদার দলীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বলেন, “দলকে শক্তিশালী করতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই।”
এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা মাশরুর রহমান বাবলা, ইদ্রিস মিয়া, আনহার মিয়া, যুবদল নেতা মোঃ মাহবুবুর রহমান ও রুহেল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সুহেব আহমেদ ও শফিকুল ইসলাম সাগর প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মোসলেহ উদ্দিন, নিজাম দোকানদার, জীবন আহমেদ, সাইদুর রহমান সাইদ, রেদোয়ান আহমেদ, সোহেল, আসিফ, সাগর, সুমন ও ইসমাইল, সাইফুলসহ বিএনপি, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা পর্ব শেষে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

























