ঢাকা   বুধবার ১৩ আগস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২, ১৮ সফর ১৪৪৭

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর উপলক্ষে বার্লিন বিএনপির বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রবাস

সুমন আকরাম, বার্লিন

প্রকাশিত: ০৩:২২, ৬ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ০৩:২৩, ৬ আগস্ট ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর উপলক্ষে বার্লিন বিএনপির বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর উপলক্ষে বার্লিন বিএনপির বিজয় উৎসব অনুষ্ঠিত

গণঅভ্যুত্থানের এক বছর এবং শেখ হাসিনার সরকারের পতনের বর্ষপূর্তিকে কেন্দ্র করে বার্লিনে বিজয় র‍্যালি ও উৎসবের আয়োজন করেছে জার্মান বিএনপি। 

মঙ্গলবার বিকেলে (৫ আগস্ট) বার্লিন শহরের একটি মিলনায়তনে দুই পর্বে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ছিল রাজনৈতিক আলোচনা, শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।

আয়োজনের সূচনা হয় এক আনন্দ র‍্যালির মাধ্যমে। পরে মিলনায়তনে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় আলোচনা পর্ব। সঞ্চালনায় ছিলেন মুস্তাক খান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বার্লিন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবুল ব্যাপারি।

আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জার্মান বিএনপির সাবেক সভাপতি আকুল মিয়া বলেন,"অনেক আত্মত্যাগ ও দীর্ঘ সাধনার পরে আজ আমরা এই জুলাই মাসকে বিজয়ের মাস হিসেবে উদযাপন করছি। এটি আমাদের জন্য গর্বের। আমরা আজ মুখ খুলে কথা বলতে পারছি, আনন্দ করতে পারছি, এটি শহিদদের আত্মত্যাগের ফসল। বর্তমান অনির্বাচিত সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব একটি নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।"

জার্মান বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গণি সরকার দলীয় শৃঙ্খলার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, "আমরা সবাই বিএনপির কর্মী, এটাই আমাদের পরিচয়। কেউ কোনো নেতাকে বড় বা ছোট করে দেখাবেন না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নেতিবাচক মন্তব্য এড়িয়ে চলতে হবে। দলীয় ঐক্য ও সম্মান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।"

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বার্লিন বিএনপির সাবেক সভাপতি জসিম শিকদার এবং প্রচার সম্পাদক শাহ আলম। জসিম শিকদার তাঁর বক্তব্যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং বলেন আন্দোলন এখনো শেষ হয়নি, সকলকে ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

পরে বক্তব্য রাখেন বার্লিন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সুরুজ, প্রচার সম্পাদক আবু তাহের, যুবদল নেতা মাহবুব, রুয়েল আহমেদ, রেদোয়ান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শফিকুল ইসলাম সাগর, জাকির, সাজ্জাদ, রাফি, মিশু প্রমুখ।

আলোচনার প্রথম পর্ব শেষে আয়োজনের দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান, কবিতা ও আবৃত্তির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা বিজয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেন।

বিজয় উৎসবটি প্রবাসে বিএনপির ঐক্য, আত্মত্যাগের স্মরণ এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য আশা ও প্রত্যয়ের প্রতীক হয়ে ওঠে।