ঢাকা   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ জ্বিলকদ ১৪৪৬

মে মাসের শেষ সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

মে মাসের শেষ সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

মে মাসের শেষ সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা

আবারও সেই মে মাসেই দেখা দিয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। গত বছর ২৭ মে উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল। আম্ফান, মোখার মতো ঘূর্ণিঝড়ও আঘাত হেনেছিল মে মাসেই। বিগত পাঁচ বছরে সাতটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের পাঁচটিই ছিল মে মাসে।

এবারও মাসের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পূর্বাভাস পরবর্তীসময়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। 

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, মে মাসে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু (বর্ষা) শুরু হওয়ার আগে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রবণতা বাড়ে। নভেম্বর মাসে বর্ষা শেষ হয়, অর্থাৎ মৌসুমি বায়ু বিদায় নেয়—এই ট্রানজিশন পিরিয়ডে আবহাওয়ায় অস্থিরতা তৈরি হয়, যা ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম দিতে পারে।

বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিমের (বিডব্লিউওটি) দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সাধারণত মে মাসের ২০ থেকে জুন মাসের ১৯ তারিখের মধ্যে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে বর্ষা ঋতুর আগমন ঘোষণা করে। মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ সীমানায় এখন অবস্থান করছেন। এর আগেই ঘূর্ণিঝড়ের সিস্টেম তৈরি হয়। বঙ্গোপসাগরের বর্তমান অবস্থা একটা সাইক্লনিক ঘূর্ণিবার্তার জন্য প্রস্তত হয়ে আছে, যা নিম্নচাপ অবস্থা থেকে ক্যাটাগরি-১ মাত্রার ঘূর্ণিঝড়ের আদলে রূপ গ্রহণ করতে পারে।

এছাড়া ঘূর্ণিঝড় শেষেই মে’র শেষ সপ্তাহে মৌসুমি বায়ুর অগ্রভাগ দেশের উপকূলভাগে এসে স্থলভাগের শুষ্ক বাতাসের সঙ্গে আন্তঃক্রিয়ায় প্রাক মৌসুমি বজ্রবৃষ্টি এবং খুবই অল্প সময়ের মধ্যেই তথা জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বর্ষার আগমন ঘোষণা করতে পারে।

জানা যায়, বিগত পাঁচ বছরে সাতটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করে বাংলাদেশ। যার মধ্যে চারটি ছিল মে মাসে, বাকি তিনটি অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া এসব ঘূর্ণিঝড় বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আঘাত হেনেছে। এসব ঘূর্ণিঝড় ও তীব্র জলোচ্ছ্বাসে প্রাণহানি, ঘরবাড়ি ও ফসলের ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও ক্ষতির শিকার হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।