
শেয়ারবাজার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের প্রতিষ্ঠান খোলার প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে সাকিবের মালিকানাধীন মোনার্ক হোল্ডিংস।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রাথমিকভাবে সাকিব আল হাসানের মোনার্ক হোল্ডিংসসহ ৩০টি প্রতিষ্ঠানের ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট বা ট্রেক সনদ দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্তের কথা প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জকে (ডিএসই) জানিয়েছে। ডিএসইর সদস্য হিসেবে এসব প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে লেনদেনের সনদ পাবে।
ডিএসই ও বিএসইসি সূত্রে জানা যায়, নতুন ৫৪টি ট্রেক সনদ ইস্যুর জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিএসইসিতে প্রস্তাব পাঠায়। এর মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৩০টি ট্রেক সনদের অনুমোদন দেয় বিএসইসি।
বিএসইসি যাচাই–বাছাই করে সেই তালিকা থেকে ৩০টির বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে ডিএসইকে। এর মধ্যে রয়েছে সাকিবের মালিকানাধীন মোনার্ক হোল্ডিংস। ডিএসইতে প্রতিষ্ঠানটি ট্রেকের যে আবেদন জমা দিয়েছে, সেখানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন সাকিব আল হাসান। আর ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা এমডি হিসেবে রয়েছেন কাজী সাদিয়া হাসান। পরিচালক হিসেবে আছেন জাভেদ এ মতিন ও আবুল কালাম মাতবর। ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান বর্তমানে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের শুভেচ্ছাদূত।
শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ শিক্ষা কার্যক্রমের অন্যতম প্রচারদূত তিনি। এরই মধ্যে বিএসইসির হয়ে তিনি বেশ কিছু বিনিয়োগকারী সচেতনতা কার্যক্রম অংশ নিয়েছেন। বিজ্ঞাপনেও অংশ নিয়েছেন। বিভিন্ন টেলিভিশন ও ইউটিউবে প্রচারিত ওই বিজ্ঞাপনে সাকিব একজন ব্যবসায়ী হিসেবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। যিনি না জেনে না বুঝে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে লোকসান করেন।
তাই তিনি ওই বিজ্ঞাপনে বিনিয়োগকারীদের না জেনে না বুঝে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ না করার পরামর্শ দেন। এখন সেই বিনিয়োগকারীদের লেনদেনের জন্য প্রতিষ্ঠান খুলে শেয়ারবাজারের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পথে রয়েছে সাকিব আল হাসান। সাকিবের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, গত পরশু তাঁর প্রতিষ্ঠান মোনার্ক হোল্ডিংসকে নতুন ট্রেক হোল্ডার হিসেবে সনদ দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন ডিএসইর কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নিরাপত্তা জামানত বা সিকিউরিটি মানি জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে আবেদন করতে হবে।
বিএসইসির চূড়ান্ত অনুমোদনের পর প্রতিষ্ঠানটি শেয়ার ব্যবসার কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ডিএসই সিদ্ধান্ত নিয়ে যেসব প্রতিষ্ঠানের তালিকা আমাদের অনুমোদনের জন্য পাঠাবে, যাচাই-বাছাইয়ের পর সেগুলোকে শেয়ারবাজারে ব্রোকার ও ডিলার হিসেবে লেনদেনের সনদ দেওয়া হবে। এরপরই প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যক্রম শুরু করতে পারবে।’
নতুন ট্রেক সনদ পাওয়া কোম্পানিগুলো হচ্ছে- কবির সিকিউরিটিজ, মোনার্ক হোল্ডিংস, সোহেল সিকিউরিটিজ, আরএকে ক্যাপিটাল, যমুনা ব্যাংক সিকিউরিটিজ, স্নিগ্ধা ইক্যুইটিজ, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজ কোম্পানি, সাউথ এশিয়া সিকিউরিটিজ, ট্রাই স্টার সিকিউরিটিজ, থ্রি সিকিউরিটিজ, সোনালী সিকিউরিটিজ, কেডিএস শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, আল হারামাইন সিকিউরিটিজ, মীর সিকিউরিটিজ, টিকে শেয়ার অ্যান্ড সিকিউরিটিজ, এনআরবি ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এসবিএসি ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট, আমায়া সিকিউরিটিজ, প্রুডেনশিয়াল ক্যাপিটাল, তাফাকুল ইসলামিক সিকিউরিটিজ, বিএনবি সিকিউরিটিজ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্স সিকিউরিটিজ, মাহিদ সিকিউরিটিজ, বারাকা সিকিউরিটিজ, এএনসি সিকিউরিটিজ, এসএফআইএল সিকিউরিটিজ, তাসিয়া সিকিউরিটিজ, ডাইন্যাস্টি সিকিউরিটিজ, ক্রিস্টাল সিকিউরিটিজ ও ট্রেড এক্স সিকিউরিটিজ।