
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) আজ লেনদেন চলছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস আজ রবিবার (২০ জুন) লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪২ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ২ পয়েন্ট কমে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২৮৮ ও ২২০০ পয়েন্টে রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ২৭৩ কোটি ৩২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
এই সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ১১৬টির, কমেছে ১৮১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫০টি কম্পানির শেয়ার।
সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো বেক্সিমকো লিমিটেড, পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল ফিড, অরিয়ন ফার্মা, ডেল্টা হাউজিং, প্যারামাউন্ট ইন্স্যুরেন্স, পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সিএনএ টেক্সটাইল, লুব-রেফ ও রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স।
লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইর সূচক বাড়ে ৩১ পয়েন্ট। এরপর ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে ১১ পয়েন্ট কমে যায়। এরপর সূচকের গতি নিম্নমুখী দেখা যায়। সকাল ১০ টা ১৫ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এদিকে, লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ৩১ পয়েন্ট কমে ১৭ হাজার ৫৩৯ পয়েন্টে অবস্থান করে। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এই সময়ে ৪২টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৭০টি কম্পানির দর। আর ১৩টি কম্পানি শেয়ারের দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
সব প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে দিয়ে সার্কিট ব্রেকারের (দাম কমা বা বাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা) নতুন নিয়ম নির্ধারণ করায় শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এতে রোববার লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
গতবছর দেশে মহামারি করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হলো শেয়ারবাজারে ভয়াবহ ধস নামে। শেয়ারবাজারে পতন ঠেকাতে গতবছরের ১৯ মার্চ সে সময়ের কমিশন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম বেঁধে দিয়ে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেয়।
তবে প্রায় এক বছর ধরে শেয়ারবাজার ভালো অবস্থানে থাকায় গত বৃহস্পতিবার ফ্লোর প্রাইস উঠিয়ে নেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে সার্কিট ব্রেকারের নতুন নিয়ম আরোপ করা হয়।
এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক দেখা দেয়। এ পরিস্থিতিতে রোববার শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হয় প্রায় সবকটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার মাধ্যমে। ফলে প্রথম মিনিটেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক ৩০ পয়েন্ট কমে যায়।