অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ শুরু
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশব্যাপী সংঘর্ষ এবং তাণ্ডবের পর শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাত থেকে দেশে কারফিউ জারি করা হয়। এ ধারাবাহিকতায় রোববার (২১ জুলাই) বিকাল ৩টা পর্যন্ত কারফিউ চলছিল। ২ ঘণ্টার জন্য শিথিলের পর বিকাল ৫টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আবারও কারফিউ শুরু হয়েছে।
এরআগে, শনিবার (২০ জুলাই) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কারফিউ বিষয়ে এমন নির্দেশনার কথা জানিয়েছিলেন।
এদিকে নির্বাহী আদেশে দেয়া দুই দিনের ছুটিতে সোমবারও (২২ জুলাই) অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। সাধারণ ছুটির আওতায় সরকারি-বেসরকারি অফিস, গার্মেন্ট ও শিল্পকারখানা। এছাড়া ব্যাংকসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানও বন্ধের আওতায় থাকবে। তবে বন্দরগুলো কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় খোলা থাকবে।
আর পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত রেল যোগাযোগও বন্ধ থাকবে। তবে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চলাচল কারফিউমুক্ত থাকবে।
রোববার দুপুরে কোটা পুনর্বহাল ইস্যুতে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করেন আপিল বিভাগ। রায়ে আপিল বিভাগ জানান, সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে। এছাড়া ৫ শতাংশ হবে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবং এক শতাংশ থাকবে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী এবং এক শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটা।
এর আগে রোববার সকাল ১০টার পর কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে আদালত দুপুর দেড়টার দিকে রায় ঘোষণা করেন।
এদিকে কোটা ইস্যুতে আপিল বিভাগের দেয়া রায়কে স্বাগত জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেয়া রায়ের পর এ প্রতিক্রিয়া জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারী সারজিস আলম।
তিনি বলেন, ‘আপিল বিভাগের রায়কে শিক্ষার্থীরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। তবে নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত হিসেবে দেখছেন তারা।’