
ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের উদ্দেশ্যে বলছি
ভাইয়েরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হওয়ার যে পায়তারা চলছে সেই ফাঁদে পা দেবেন না। অবশ্যই মহান আল কোরআন অবমাননার যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে বাংলার জমিনে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক তার জন্য আন্দোলন করেন কিন্তু কোন নিরিহ মানুষকে আক্রমণ করার অনুমতি আপনার নেই এবং অন্য ধর্মের উপাসনালয় ভাঙ্গার অধিকার নাই আপনার...
ইসলামের উশুল হচ্ছে যে অপরাধ করেছে সে সাজা পাবে কোন নির্দোষ মানুষের চুল ছেঁড়ার অধিকার ও নেই আপনার এবং কারো সম্পদ কিংবা পরিবেশের ও ক্ষতি করা যাবেনা কারণ আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ- যে কেউ প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ অথবা পৃথিবীতে অনর্থ সৃষ্টি করা ছাড়া কাউকে হত্যা করে সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করে। এবং যে কারও জীবন রক্ষা করে, সে যেন সবার জীবন রক্ষা করে।(৫ঃ৩২)
এছাড়া আল্লাহ পবিত্র কুরআনে আরো বলেছেনঃ- "এমনিভাবে আমি তোমাদেরকে মধ্যপন্থী সম্প্রদায় করেছি যাতে করে তোমরা সাক্ষ্যদাতা হও মানবমন্ডলীর জন্যে এবং যাতে রসূল সাক্ষ্যদাতা হন তোমাদের জন্য।(২ঃ১৪৩)
আর অন্য ধর্মের খোদাকে গালি গালাজ করার ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে আল্লাহ বলেছেনঃ- "তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে।(৬ঃ১০৮)
প্রকৃতপক্ষে ইসলামে গালিগালাজ করা নিষেধ। আমরা হাদিস থেকে আলোচনা করতে পারি। রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন ‘কবিরা গুনাহগুলোর একটি হলো নিজের বাবা-মা’কে অভিশাপ করা। ’ জিজ্ঞেস করা হল, আল্লাহর রাসুল! মানুষ নিজের বাবা-মা’কে কিভাবে অভিশাপ করে?’ তিনি বললেন, ‘যখন সে অন্যের বাবাকে গালি-গালাজ করে, তখন সে নিজের বাবাকেও গালি-গালাজ করে থাকে। আর সে অন্যের মা-কে গালি দেয়, বিনিময়ে সে তার মা-কেও গালি দেয়। ’ (বুখারি, হাদিস নং: ৫৯৭৩)
আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ- "দ্বীনের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্য-বাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে।(২ঃ২৫৬)
তার মানে কি আমরা হাতগুটিয়ে বসে থাকবো?
অবশ্যই না আপনাকে হকের পক্ষে থাকতে হবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হবে তবে আমাদের সীমা চিনে নিতে হবে। অজ্ঞতার কারণে আবেগী হয়ে ইসলাম বিরোধী কাজ করবেন না।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক বুঝ দান করুক।