
তরুণ উদ্ভাবক জয় বড়ুয়া লাভলু সড়ক দুর্ঘটনায় হাত হারানো ব্যাক্তিদের জন্য স্বল্পমূল্যের কৃত্রিম হাত উদ্ভাবন করে খ্যাতি অর্জন করেছে। সম্প্রতি লাবলু তার উদ্ভবনী ক্ষমতা দ্বারা মানুষের জীবনমান আরো উন্নত করার জন্য ইকোভেশন বাংলাদেশে যুক্ত হয়েছেন।
এ নিয়ে ইকোভেশন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা শানজিদুল আলম সিবান শান বলেন, আমারা একটি ওপেন-সোর্স কমিউনিটি তৈরির পরিকল্পনা করছি। যেখানে মেধাবীরা তাদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। আমরা লাবলুর মতো তরুণ উদ্ভাবক পেয়ে সত্যিই আশাবাদী।
তিনি আরো বলেন, ইকোভেশন বাংলাদেশ শীঘ্রই সকল তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য একটি ইনোভেশন হাব চালু করবে। যেখান থেকে উদ্ভাবনী মানসিকতাসম্পন্ন তরুণদের প্রযুক্তিগত, কৌশলগত এবং আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে ।
এ সম্পর্কে লাভলু বলেছে, “আমার উদ্ভাবন ভাইরাল হওয়ার পর, সারাদেশের অনেক লোক প্রশংসা করেছে, কিন্তু কেউ সামনে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেয়নি। আমি আশা করি ইকোভেশন বাংলাদেশে যোগদান আমাকে আমার কাজের বিকাশ এবং জীবনকে মান উন্নত করতে সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, ইকোভেশন বাংলাদেশের (পূর্বে লিটার অফ লাইট বাংলাদেশ) একটি সামাজিক উদ্যোগ। "উদ্ভাবনই পারে যে কোনও সামাজিক সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে" সেই চিন্তাধারা থেকেই সানজিদুল আলম ২০১৫ সালে ইকোভেশন বাংলাদেশ শুরু করেছিলেন। তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা, সুনির্দিষ্টভাবে এসডিজি ৭, এসডিজি ৯, এসডিজি ১১ এবং এসডিজি ১৭ অর্জন করতে কাজ করছে।
এটি বাংলাদেশে জ্বালানি দারিদ্র্য সমস্যা সমাধানের একটি সমাধান নিয়ে যাত্রা শুরু করে, পরবর্তীতে অন্যান্য উদ্ভাবনী উদ্যোগে উদ্যোগী হয়। এ পর্যন্ত ইকোভেশন বাংলাদেশ সারা দেশে ৩০ টিরও বেশি প্রকল্প বাস্তবায়ান করেছে এবং প্রায় ১,৫০,০০০ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।