ঢাকা   শনিবার ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ৯ কার্তিক ১৪৩২, ০২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘রেইনবো নেশন’ গড়ে তুলবে

রাজনীতি

বিডিটোন ডেস্ক

প্রকাশিত: ০১:৩২, ২৫ অক্টোবর ২০২৫

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘রেইনবো নেশন’ গড়ে তুলবে

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ‘রেইনবো নেশন’ গড়ে তুলবে

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের সকল জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে একটি ‘রেইনবো নেশন’ বা 'রংধনু জাতি' গড়ে তুলবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাজধানীর বনানী বিদ্যা নিকেত স্কুল ও কলেজ মাঠে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী ‘গারো’ সম্প্রদায়ের সংগঠন ‘ঢাকা ওয়ানগালা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত ‘ঢাকা ওয়ানগালা উৎসব-২০২৫’ উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় তিনি দলের এই অবস্থান জানান।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ২০২২ সালে ঘোষিত ৩১ দফায় খুব পরিষ্কার করে বলেছেন যে, আমরা একটি রেইনবো নেশন তৈরি করব। অর্থাৎ যে নেশনে সব সম্প্রদায়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়ে তারা তাদের অবদান রাখতে সক্ষম হবে।” তিনি আরও বলেন, “আগামীতে বিএনপির সরকারে আসলে অবশ্যই অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আপনাদের সমস্যাগুলো বিবেচনা করা হবে।

গারো সম্প্রদায়ের দাবি-দাওয়ার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০ কর্মসূচিতে সমতলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সংস্কৃতি-ঐতিহ্য রক্ষা করা এবং তাদের সমস্যার সমাধানের জন্য পৃথক অধিদফতর গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তিনি অঙ্গীকার করেন যে, বিএনপি আগামীতে সরকারে আসলে ঢাকায় ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর পৃথক সাংস্কৃতিক একাডেমী গঠন করা হবে এবং সরকারিভাবে গারোদের ‘ওয়ানগালা উৎসব পালনের বিষয়ে সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে।

'সকল জাতিগোষ্ঠির স্বীকৃতি দিতে হবে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদকে ‘বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। এর উদ্দেশ্য একটাই, শুধু বাঙালি নয়, বাংলাদেশের আদিবাসী ও জাতিগোষ্ঠী যারা আছেন, তাদেরকেও সেই স্বীকৃতি তিনি দিয়েছেন। তখন থেকেই আমরা গারো সম্প্রদায়কে স্বীকৃতি দিয়েছি, তাদের কৃষ্টি সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য এবং তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নয়ন দরকার।

তিনি বলেন, বিএনপির দায়িত্ব হচ্ছে সকল সম্প্রদায়গুলোকে মূল সম্প্রদায়ের সঙ্গে কিছুটা এক করা, সেই সঙ্গে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা যেন উন্নত হয় তার ব্যবস্থা করা। একই সঙ্গে তাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতিকে ধরে রাখা চেষ্টা করা।” তিনি সকলকে বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে মন-মানসিকতাকে মূল ধারার সঙ্গে এক হয়ে ওঠার চেষ্টা করারও আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠি দলের সভাপতি মৃগেন হাগিদক, ক্রিস্টিয়ান সার্ভিস সোসাইটির পরিচালক বাপন মানকিন, বিরিশিরি কালচারাল একাডেমির পরিচালক পরাগ রিটসিল, আয়োজক কমিটির শুভজিট স্যানগমা নাকমা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে গারো সম্প্রদায়ের সদস্যরা না-গান পরিবেশন করেন।