ঢাকা   সোমবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

সন্দ্বীপের মুছাপুরের কৃতি সন্তান

প্রসেনজিৎ দাস পেলেন “বোর্ড অব ট্রাস্টিজ স্বর্ণপদক ”

প্রসেনজিৎ দাস পেলেন “বোর্ড অব ট্রাস্টিজ  স্বর্ণপদক ”

প্রসেনজিৎ দাস পেলেন “বোর্ড অব ট্রাস্টিজ স্বর্ণপদক ”

সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মাস্টার পাড়ার গর্ব প্রসেনজিৎ দাস ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চতুর্থ কনভোকেশনে সর্বোচ্চ একাডেমিক ফলাফলের স্বীকৃতি হিসেবে “বোর্ড অব ট্রাস্টিজ  স্বর্ণপদক” অর্জন করেছেন।  অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিবিজনেস বিভাগ হতে  বিবিএ এবং এমবিএ ইন এগ্রিবিজনেস উভয় ডিগ্রি পর্যায়ে অসাধারণ ফলাফল তাকে এই সম্মান এনে দেয়।

বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI), গাজীপুর-এর উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগে  বৈজ্ঞানিক সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন। ধান প্রজনন, উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন এবং কৃষিতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ব্যবহার—এই তিন ক্ষেত্রেই বৈজ্ঞানিক সহকারী হিসেবে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন।

প্রসেনজিতের শৈশব কেটেছে মুছাপুরের শান্ত পরিবেশে। পিতা দুলাল চন্দ্র দাস  অবসরপ্রাপ্ত চাকুরিজীবী এবং মাতা বুলবুল রাণী দাস একজন গৃহিণী। দুই ভাইবোনের পরিবারের বড় ছেলে প্রসেনজিৎ শুরু থেকেই পরিশ্রমী, মনোযোগী এবং লক্ষ্যনিষ্ঠ ছিলেন।

তার শিক্ষাজীবন শুরু মুছাপুর হাজী আব্দুল বাতেন উচ্চ বিদ্যালয়ে, যেখানে তিনি ২০০৯ সালে মাধ্যমিক এবং ২০১৩ সালে হাটহাজারী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট থেকে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রিবিজনেসে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে তিনি ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জন করেন। ইতোমধ্যে তার একটি গবেষণা প্রবন্ধ আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা তার গবেষণা-অভিযাত্রাকে আরও শক্ত ভিত্তি দিয়েছে।

এই স্বর্ণপদক প্রাপ্তির আনন্দে প্রসেনজিৎ দাস বলেন—“এই অর্জন আমার একার নয়। আমার সম্মানিত শিক্ষকমন্ডলী, পিতামাতা, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, সহপাঠী এবং শুভানুধ্যায়ী সকলের সহযোগিতা, ভালোবাসা ও অনুপ্রেরণা ছাড়া আমি আজকের অবস্থানে পৌঁছাতে পারতাম না। আমি তাদের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই এবং সবাই আমার জন্য আশীর্বাদ কামনা করবেন।”

তিনি আরও জানান—“বাংলাদেশের ধান গবেষণা ও কৃষি উন্নয়নে বাস্তবভিত্তিক, কৃষক-বান্ধব ও জলবায়ু-সহনশীল উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে চাই। আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা করে দেশের কৃষিক্ষেত্রকে আরও এগিয়ে নিতে চাই।”