ঢাকা   বুধবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

প্রবাস জীবনে সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা!

সোশ্যাল মিডিয়া থেকে

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ১৯ মার্চ ২০২৩

আপডেট: ১৯:১৪, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রবাস জীবনে সুন্দর একটি অভিজ্ঞতা!

সেমিস্টার ব্রেক চলছে! তাই একই সাথে ফুলটাইম জব করছি আবার হোম অফিসের সুবাদে বউয়ের এলাকায় থাকছি। কি আর! উইকেন্ডটা রাখতে হয় বাজার-সদাইয়ের জন্য! আজ শনিবার। ঘরে মাছ-মাংস শেষের দিকে। তাই পূর্বের প্ল্যানমত সকালের নাস্তা সেরে গেলাম কেমনিজের কাল মার্কস মনুমেন্টের অপজিটে তার্কিশ শপে। নিলাম মুরগীর মাংস, গরুর মাংস আর কিছু নাগেটস, সসেস। এই শপে আবার রুটি নেই। তাই পাশের শপে গেলাম, সেটাও তার্কিশ, তবে এখানে মাংস নাই। আর হালাল আইটেমের জন্য তার্কিশ শপের জুরি নেই। পরের শপে রুটি, মায়োনিজ আর কিছু জিনিস নিলাম। বিল দিতে গিয়ে শুনি কার্ডে বিল নিবে না! আমার পকেটে আবার ক্যাশ নেই। এটা শুনে পাশে এক ভদ্রলোক জার্মান ভাষায় কি যেন বললো! আমি আইডিয়া করে বুঝে নিলাম যে সে ক্যাশ দিয়ে দিবে আর আমি অনলাইনে তাকে পে করে দিবো, তাই বললাম যে ওকে। তিনি পে করে দিলেন। ভদ্রলোককে ধন্যবাদ দিয়ে জিজ্ঞেস করলাম যে আমি তাকে কিভাবে ট্রান্সফার করে দিবো, উনি বলতেছে আমি এটা একেবারেই দিয়ে দিছি, রিটার্ন করতে হবে না! আমরা জামাই-বউ দুই জনেই রীতিমত অবাক! একি কান্ড! যাহোক ভদ্রলোক কোন ভাবেই পেমেন্টটা রিটার্ন নিলেন না। পরে উনাকে অনেক ধন্যবাদ দিয়ে প্রস্থান করা ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় ছিল না! এর আগেও আমরা অনেকের থেকে গিফট পেয়েছি, খাবার পেয়েছি সহযোগীতা পেয়েছি কিন্তু আজকের অভিজ্ঞতাটা খুব ভিন্ন ছিল। জাতি হিসেবে জার্মানরা সত্যি অমায়িক। এরা যেমন কঠোর পরিশ্রমী তেমনই অসম্ভব মানবিক। এদেরকে দেখে প্রতিদিন শিখছি! চেষ্টা করছি এদের মত মহান হতে! পারবো কিনা জানি না তবে এদের মত মহান হতে পারলে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করবো। [Sumon Akram-ফেইবুক ওয়াল থেকে]