ঢাকা   মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে নিষিদ্ধ করলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে নিষিদ্ধ করলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে নিষিদ্ধ করলো আইসিসি

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে বড় দুঃসংবাদ। বোর্ডের ওপর সরকারি হস্তক্ষেপের কারণে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে লঙ্কান ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আইসিসি।

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আইসিসি বোর্ড আজ বৈঠকে বসে ঠিক করেছে যে, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট একটি সদস্য হিসেবে তার প্রতিশ্রুতির গুরুতর লঙ্ঘন করছে। বিশেষ করে, স্বায়ত্তশাসিতভাবে তার বিষয়গুলো পরিচালনা করার প্রয়োজনীয়তা এবং শাসন, প্রবিধান এবং প্রশাসনে কোনও সরকারি হস্তক্ষেপ নেই তা নিশ্চিত করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট।’

যার ফলশ্রুতিতে লঙ্কান ক্রিকেটের সদস্যপদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। তারা আরও জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার শর্তগুলো আইসিসির বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়ে পরবর্তীতে যথাসময়ে জানাবে।

এর আগে বিশ্বকাপে ভরাডুবির কারণে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের সকল সদস্যকে বরখাস্ত করেছিলেন দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী রোশান রানাসিংহে। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের পুনরায় স্বপদে পুর্নবহাল করেছিলেন লঙ্কান আদালত। তবে দুইদিন পর সংসদে সরকারি দল ও বিরোধী দলের সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ড সদস্যদের বরখাস্ত করার প্রস্তাব পাস করায়।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) ‘দুর্নীতিগ্রস্থ এসএলসি (শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ড) ম্যানেজমেন্ট প্রত্যাহার’ নামে একটি বিল উত্থাপন করেন প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা সাজিথ প্রেমাদাসা। পরে উত্থাপন করা বিলে সম্মতি প্রদান করেন সরকারদলীয় নেতা নিমাল সিরিপালা ডি সিলভা। এরপর চূড়ান্ত প্রস্তাব পাস হয়।

পরে এ বিষয়ে প্রেমাদাসা জানান, জনগণকে ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনিক পর্যায়ে দুর্নীতি বিষয়ে সচেতন করা এবং লঙ্কান ক্রিকেটকে দুর্নীতিবাজদের কবল থেকে রক্ষা করাই এই প্রস্তাবের লক্ষ্য। আবেগী ভক্তদের জন্য খেলাকে বাঁচাতে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রেমাদাসা।

বিশ্বকাপে লঙ্কান ক্রিকেটারদের বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বোর্ডের কর্তাদের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। পরে সমালোচনার মুখে পড়ে সেক্রেটারির পদ থেকে সরে দাঁড়ান মোহন ডি সিলভা। 

এর পরেই দিনই বোর্ডের সবাইকে পদত্যাগে বাধ্য করেন রোশান রানাসিংহে।