ঢাকা   মঙ্গলবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

এনসিপিতে চরম হতাশা

এনসিপিতে চরম হতাশা

এনসিপিতে চরম হতাশা

সম্প্রতি ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ফলাফলে চরম হতাশায় পড়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

এই নির্বাচনে এনসিপির সমমনা ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) বড় ধরনের ফল বিপর্যয়ের শিকার হয়েছে। উভয় বিশ্ববিদ্যালয়েই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে জামায়াত সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবির।

গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠনের এমন ভরাডুবির পর এ নিয়ে চরম হতাশা কাজ করছে এনসিপির শীর্ষ নেতৃত্বের।

ডাকসু ও জাকসুর ফলাফলের পরই শনিবার রাতে এক ফেসবুক স্টাটাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম লিখেছেন, “বাংলাদেশে রাজনৈতিক অঙ্গনে আরেকটি ‘ছায়া মওদুদীবাদী’ দল প্রয়োজন নেই”।

যদিও তিনি ঠিক কোন দলকে উদ্দেশ্য করে এ বক্তব্য দিয়েছেন তা লেখেননি।

পোষ্টে তিনি আরো লিখেন, “ইতিমধ্যে অন্তত আধা ডজন এমন ছায়া দল রয়েছে দেশে। আপনারা বাড়তি কিছু যোগ করবেন না।”

অনেকেই ধারণা পোষণ করছেন, ডাকসু-জাকসুতে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের পরাজয়ে এনসিপি কিংবা ছাত্র উপদেষ্টাদের মধ্যেও এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে।

এছাড়াও সংস্কার-নির্বাচনি জোট কিংবা দলের কিছু কিছু নেতাকর্মীদের মধ্যে এসব বিষয় নিয়ে নানা বিরোধও স্পষ্ট হচ্ছে।

এনসিপির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলেন, এনসিপির মধ্যে বাম বলয় ও ইসলামপন্থি অংশের মধ্যে সম্প্রতি বেশ কিছু ইস্যুতে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে। এরমধ্যে একটি ইস্যু ছিল বিশ্ববিদ্যালগুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচন।

দলের মধ্যে বাম বলয়ের অংশটি এনসিপিকে জামায়াত ঘেঁষা অবস্থান থেকে সরে আসারও পরামর্শও দিচ্ছে।

তবে এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব বলেন, “জামায়াতের সাথে এখন আমাদের দূরত্ব বা সখ্যতা কোনটিই নেই। শিগগিরই তাদের সাথে যুগপৎ আন্দোলনের সম্ভাবনাও নেই। আমরা আপাতত নিজস্ব রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েই রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজেদের পরিচিত করার চেষ্টা করবো”।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অবশ্য এটিকে একটি কৌশল হিসেবেই দেখছেন। বিশ্লেষক রাশেদা রওনক খান বলেন, “এখন যেখানে যে মতাদর্শ, ব্যক্তিগত স্বার্থ, ইচ্ছা অনিচ্ছা চেয়ার বিভিন্ন কিছু নিয়ে মতভেদ তৈরি হবে। সেটা নিয়ে পার্টির রাজনীতি আলাদা কি না সেটা বোঝা যায় না। পার্টির রাজনীতি ভিন্নও হতে পারে”।