পূর্ব ইউরোপের বিশ মিলিয়ন মানুষের বসবাস রোমানিয়া। দুই ধরনের জনগোষ্ঠীর মানুষের বসবাস। অরিজিনাল রোমানিয়ান, যারা শিক্ষিত ও আধুনিক জীবন যাপন করে। জিবশী বা জেলে, তারা সেকেলে ও গরীব।
এই আধুনিক যুগেও এখানে জাদুটোনা বৈধ এবং এই ব্যাবসার আয়কর দিতে হয়।এখানকার প্রায় ২৮% মানুষ পশ্চিম ইউরোপের অন্য দেশে কাজ করে, কারন শ্রমের মূল্য কম পশ্চিম ইউরোপের তুলনায়। কলকারখানাও কম নয় । তাই শ্রমিক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি পূরনের জন্য বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশ থেকে এরা শ্রমিক আমদানী করে।
বাংলাদেশ থেকে ইতিমধ্যেই পাঁচ হাজারের মতো শ্রমিক এসেছেন, আসার অপেক্ষায় আছে বহু শ্রমিক। রয়েছে পড়াশুনার সুযোগ, রয়েছে হাতে গোনা বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রী। বাংলাদেশে রোমানিয়ার দূতাবাস না থাকায়, ভারতে গিয়ে বাংলাদেশীদের ভোগান্তি পেতে হয়।
দূতাবাস স্থাপনের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা জরুরী। বাংলাদেশের যে সমস্ত কাজ করে, তা হলো__ জাহাজ শিল্প, বিভিন্ন ধরনের কলকারখানা , গার্মেন্টস, ইমারত নির্মাণ , হোটেল রেঁস্তোরা, বেবি সিটিং, কৃষিকাজ, স্টোর কিপার, ফুড ডেলিভারীসহ বহু পেশায়। ভাষাগত সমস্যার কারনে ভাল কাজ পায় না অনেকে এবং বেতন ভাতাদি পচ্শিম ইউরোপের তুলনায় কম।
তবে আশার আলো হচ্ছে যে, আগামী বছর রোমানিয়া যুক্ত হতে পারে সেংগেন ভূক্ত ইউরোপিয় ইউনিয়নে। তখন এইসব সমস্যা থাকবে না। অনেক ভালোর মাঝে এখানকার উচ্চ পদের বাংলাদেশী কর্মকর্তার সাথে রোমানিয়ার আন্তর্জাতিক জনৈক মানব পাচার কারীর সখ্যতা আছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
জন্মদিন সহ বিভিন্ন সময়ের অনুষ্ঠানে অন্তরঙ্গভাবে দেখা গেছে, এমনকি বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথেও পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়েছে। রোমানিয়ার পুলিশের ওয়েভসাইড অনুযায়ী উক্ত ব্যাক্তি রোমানিয়ার আইনে আট বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। এই সম্পর্ক শ্রমবাজারের জন্য হুমকি হতে পারে।
অপরদিকে উক্ত কর্মকর্তা শেখ রাসেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তার বক্তৃতায় বলেন, ৭৫ খুনীরা বঙ্গবন্ধুকে যোগ্য মনে করেননি, তাই তাকে হত্যা করেছেন। তবে তিনি মিন করেননি বলে সাংবাদিকদের বলেন।