অনেকে মনে করেন পদ্না সেতুর কারনে জেল খাটার পুরস্কার হিসেবে সাবেক সিনিয়র সচিব জনাব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি কে জার্মানির মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশে রাষ্ট্রদূত হিসেবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হয়। কভিড-১৯ এর মধ্যেই যোগদান করেন। কভিডের কারনে অনেকটা ঘর বন্দী হয়ে থাকেন শুরুতে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে চষে বেড়াতে থাকেন পুরো জার্মানি এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যান্য দেশ। অস্হায়ী দূতাবাস সার্ভিস কিংবা বানিজ্য মেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা থাকলেও তিনি তার সৌখিন ভ্রমন করেছেন নিজে, এমনকি অনেক সময় স্বপরিবারে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অডিট রিপোর্ট দেখলে এমনই পাওয়া যাবে। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের না হওয়ার কারনে দূতাবাসের ম্যানেজমেন্টের অবস্থা বেশ নাজুক, যে যার মতো কাজ করেন। সে টক শো কিংবা স্হানীয় আওয়ামী লীগের আম্পেয়ার আনায় ব্যাস্ত সময় পাড় করেন।
কিছুদিন আগে একটি মিটিং এ বলেন, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী তাকে বলবে, তারপর সে এখানকার আওয়ামী লীগের সম্মেলন করে দিবেন। আরো একটি মিটিং এ বলেন, জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিল করা হলে বঙ্গবন্ধুকে অপমান করা হবে। ১৫ই আগষ্টের মিটিং এ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর তেমন কোন প্রতিবাদ করেনি। মানুষের মধ্যে পক্ষান্তরে খুশীর ভাব ছিলো। উপস্থিত নেতাকর্মীরা এর প্রতিবাদ করেন ঐ মিটিং এ। যার ভিডিও ফুটেজ আছে। সে রাষ্ট্রদূত না নেতা?
অবশ্য এই আম্পেয়ার আনার জন্য আইফোন বকশিষ পেয়েছেন নাকি! যারা সাথে ছিলেন তার ছবি তুলে রেখেছেন। এমনকি শ্যুটকোট পেলে মসজিদ/মন্দিরে হাঁটু গেড়ে বসে পরেন বলে কমিউনিটিতে অনেকে বলেন।
ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি একটি মিটিং এ না যাওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি যান, যে মিটিং এ বাংলাদেশ সরকার বিরোধী চক্র ছিলো। পদ্না সেতুর জন্য জেল খেটেছেন সেই অজুহাতে আরো এক বছর মেয়াদ বেড়েছে তার। একটি সূত্র জানিয়েছে ও নিজের লেখা বইতে উল্লেখ আছে, তার সেই মামলার উকিল ছিলেন বিএনপির কট্টোর নেত্রী রুমিন ফারহানা।
তাহলে কি দাঁড়ায়, আপনারাই চিন্তা করুন! বার্লিনে জামাত নেতা মোহাম্মদ আজিজের সাথে রয়েছে তার সখ্যতা। সেই সুবাধে গত বছর রাষ্ট্রপতির সফরে মোহাম্মদ আজিজ খাবার সরবরাহ করেন, আজিজের রাজনৈতিক পরিচয় এসএসএফ জানতে পারলে মোহাম্মদ আজিজের কাছ থেকে আর খাবার নেন না বলে দূতাবাসের একজন বলেন তবে সে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।
দূতাবাসে টেলিফোনে সহজে পাওয়া যায় না কেউকে। একজনের ভিসা, আরেকজনকে লাগিয়ে দেয়। পাসপোর্টের নাম ঠিক করে দিবে বলে কর্মচারী ঘুষ খায়। যা প্রবাসীদের চরম ভোগান্তি পেতে হচ্ছে। সব কিছু প্রমাণসহ জানালে কোন পদক্ষেপ নেননি বা চেষ্টাও করেননি, বরং সাংবাদিকরা তা লিখলে বা বললে তিনি তাদের দূতাবাসে তাদের দাওয়াত দিবেন না, বলে কমিউনিটির কাছে বলে বেড়ান।
সম্প্রতি ফ্রাঙ্কফুর্টে ভ্রাম্যমান সেবা আসার কথা থাকলেও মহামান্য রাষ্ট্রপতি বার্লিনে থাকার কারনে তারা বিনা নোটিশে ফ্রাংকফোর্টে আসেননি। বহু প্রবাসী দূর দূরন্ত থেকে এসে ভোগান্তিতে পড়েন। ডজন তিনেক সফর সঙ্গী থাকা সত্বেও দূতাবাসের সবাইকে থাকতে হয়েছে বার্লিন গেটে ফটো সেশন এর জন্য।
অবশ্য সেখানে সবাইকে সুযোগ দেননি। তাদের টক শো ,আম্পেয়ার আনা, ফটোসেশন, সৌখিন ভ্রমন, বলবেন —- জয় বাংলা — অপর দিকে উকিল নিবেন রুমিন ফারহানা কে — আর ভোগান্তি পোহাবো আমরা প্রবাসীরা!
তদন্ত সাপেক্ষে এর সমাধান হওয়া উচিত। আমি কথা বলতে চাইলে, তিনি কথা বলেননি। তার স্কীনশর্ট দিলাম। সবার জন্য আমি ব্যাপারগুলো পররাস্ট্রমন্ত্রণালয়ে অবহিত করেছি এবং দূতাবাসের সামনে এই সমস্যা সমাধানের দাবীতে সমাবেশ করবে প্রবাসীরা।
————আমি যখন লিখি —— কারো নই আমি , কেউ নয় আমার । (চলবে —-)