সারা বিশ্বে এক কোটিরও বেশী প্রবাসী বাংলাদেশী রক্তজল পরিশ্রমে নিজে ভাল থাকে, পিছনে ফেলে আসা পরিবার ও দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহায়তা করে। অথচ তারা বিমান বন্দর থেকে বাড়ীর উঠোন পর্যন্ত হয়রানী হতে হয়, এমনকি প্রানহানীরও মতো ঘটনা ঘটে।
এমনি এক হয়রানী ও প্রান নাশের চেষ্টার খবর জানিয়েছেন জার্মানী থেকে সহকর্মী খান লিটন।
সেলিম রহমান, জার্মানীর কোলন শহরের অদূরে ছলিংগেন ভাল্ডে তিন যুগের বেশী বসবাস করেন জার্মান স্ত্রী ও সন্তানসহ।
সে স্থানীয় ক্ষমতাসীন কোয়ালিশন সরকারের বৃহৎ দল সোস্যাল ডেমোক্রেটিক দলের ভাল্ড শহরের শীর্ষ নেতা ও ওয়ার্ড কমিশনার।
গেল সপ্তাহে তিনি ঢাকা রায়ের বাজারে তাদের সম্পত্তি (জমি) দেখতে যান, সাথে ছিলো বড ভাই মুক্তিযোদ্ধা রতন রহমান ও আলহাজ্ব নাসিম রহমান। তার সম্পত্তিতে অবৈধ দখলকারী এলাকার চিন্হিত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
সেলিম রহমান তার লাইসেন্সকৃত টুটুবার রাইফেল (জার্মান মেইড) বের করলে সেটিও সন্ত্রাসীরা কেড়ে নিতে চেষ্টা করে। স্থানীয় জনগনের সহায়তায় সেলিম রহমান ও তার ভাইকে হসপিটলে চিকিৎসা দেয়া হয়।
সেলিম গুরুতর আহত অবস্থায় জার্মানিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার মাথায় বাইশটি সেলাই লেগেছে বলে জানান ।ধানমন্ডী থানায় এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হয়েছে ও পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ও অন্যদের খুঁজছে বলে মামলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো জসিম আমাদের টেলিফোনে জানিয়েছেন।
সেলিম রহমান ও তার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্ধরা এক মিট দ্যা প্রেসে এই সন্ত্রাসী হামলার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার দাবী করেন ও দেশে তার পরিবারের নিরাপত্তার দাবী জানান বাংলাদেশ পুলিশ ও সরকারের প্রতি। সেলিম রহমান ছাড়াও ভাল্ড শহরের SPD সভাপতি ড. মূলার, সেলিম রহমানের স্ত্রী তানিয়া রহমান, দলের নেতারা ও ছোট ভাই মনি রহমান প্রেসের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের কাছে তাদের নিরাপত্তার জোর দাবী জানান।
সেলিম রহমানের সাথে থাকা আগ্নেয় রাইফেলটি যে বৈধ তা আমরা টেলিফোনে অস্রবিক্রেতা মি স্বপনের সাথে কথা নিশ্চিত হয়েছি। পুলিশও রতনকে জিজ্ঞাসা করেছে।
কারন সেলিম রহমান জার্মানিতে আসার সময় নিয়ম মাফিক ঐ অস্র বিক্রির দোকানে রেখে এসেছেন ।ঢাকায়ও মানববন্ধন ও প্রেস কন্ফারেন্স করেছে তার পরিবার ও এলাকাবাসী।