বাজেটে শ্রমজীবীদের জন্য বিশেষ বরাদ্দ চাই, করোনায় কর্মহীন শ্রমিকদের খাদ্য চিকিৎসা ও অর্থ সহায়তায় বাজেটে বরাদ্দ দাও, শ্রমিকদের জন্য আর্মিরেটে রেশন চিকিৎসা আবাসন সার্বজনীন পেনশন চালু করো এই দাবিতে মানববন্ধন করেছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
বাজেটে শ্রমজীবীদের জন্য সুস্পষ্ট বরাদ্দ না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। সংগঠনটির নেতারা শ্রমজীবীদের জন্য রেশন, চিকিৎসা সহায়তা ও সার্বজনীন পেনশন চালুর দাবি জানিয়েছেন।
সম্প্রতি স্কপের এক সভায় সংগঠনটির নেতারা বলন, শ্রমিকরা বাজেটের অর্থের যোগান দিলেও বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় শ্রমিকদের কোনো অংশগ্রহণ নেই। সরকার বিভিন্ন জনের সঙ্গে মতবিনিময় করলেও শ্রমিক প্রতিনিধিদের মতামত নেয়ার কোনো প্রয়োজন অনুভব করেননি। ফলে বাজেটে শ্রমজীবীদের প্রয়োজনের স্বীকৃতি বা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন থাকে না।
তারা বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে এবং প্রবাস থেকে টাকা পাঠিয়ে বাজেটের অর্থের যোগান দেন শ্রমজীবীরা। অথচ বাজেটে তাদের জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। শ্রমিকদের মজুরি জীবনযাত্রার ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়, তাই দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল শ্রমিকদের জন্য আর্মি-পুলিশের রেটে রেশন-সামগ্রী সরবরাহ করা, শ্রমিক অঞ্চলে হাসপাতাল ও বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, অবসরকালে শূন্য হাতে ফিরে যাওয়া শ্রমিকদের জন্য সার্বজনীন পেনশনের ব্যবস্থা চালু করা।
নেতারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার অনেক কথা বলা হলেও শ্রমিকদের জন্য বাজেটে তার কোনো প্রতিফলন ও বরাদ্দ নাই। বাজেট পাশের আগে শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী বরাদ্দের আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের দাবি জানিয়ে আগামী ১৪ জুন জাতীয় সংসদের স্পিকার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবে সংগঠনটি। এছাড়াও বাজেট পাশের আগে শ্রমিকদের দাবি পূরণে বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দের দাবিতে আগামী ১৬ জুন ঢাকায় শ্রমিক সমাবেশ হবে। রেশন, শিল্পাঞ্চলে হাসপাতাল, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা চালু করতে বাজেট বরাদ্দের দাবিতে সারাদেশে আগামী ১৮ জুন শ্রমিক সমাবেশ হবে।